বীরভূমের গরম হাওয়ায় মঙ্গলকোটকে গরম করতে চাইছেন : অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ সিদ্দিকুল্লার

5th December 2020 9:02 am বর্ধমান
বীরভূমের গরম হাওয়ায় মঙ্গলকোটকে গরম করতে চাইছেন : অনুব্রতর বিরুদ্ধে তোপ সিদ্দিকুল্লার


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) : দলের স্বার্থে সাড়ে চারবছর ধরে সহ‍্য করেছি । কিন্তু সহ‍্যের ও একটা সীমা আছে । দল যেখানে বলছে এলাকায় এলাকায় যেতে সেখানে এলাকায় কর্মসূচী করলে হুমকি শুনতে হবে এটা মানা যায় না । বীরভূমের গরম হাওয়ায় মঙ্গলকোটকে গরম করতে চাইছেন । অনুব্রত মন্ডল ক্ষমতার বড়াই দেখাচ্ছেন । আগেও বলেছি এখন ও বলছি মঙ্গলকোট , আউশগ্ৰাম , কেতুগ্ৰাম এই তিনটি বিধানসভাকে বীরভূম থেকে বের করে বর্ধমানে রাখতে হবে । বর্ধমান সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এভাবেই তোপ দাগলেন মঙ্গলকোটের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ‍্যের গ্ৰন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । তিনি আরো বলেন , ইতিপূর্বে দলের সভাপতি সুব্রত বক্সী বোলপুরে সামনাসামনি বসিয়ে বৈঠক করেছিলেন । একসাথে কাজ করার কথা বলেছিলেন । কিন্তু অনুব্রত মন্ডল সে সব সিদ্ধান্ত শোনেন নি ।  আমার পক্ষে মঙ্গলকোট গিয়ে মিটিং , মিছিল করা কোনো ব‍্যাপার নয় । কিন্তু আমি অশান্তি চাই না । দলের একজন কর্মী হিসাবে দলের নির্দেশ মেনে চলি বলে মন্তব‍্য করেছেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী । সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি । তখন ও তিনি বলেছিলেন , মিথ‍্যা কেস দিয়ে দলের কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে । অনুব্রত মন্ডলের নির্দেশেই এই কাজ হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন । যদিও অনুব্রত মন্ডল জানিয়েছেন ,  " ভুল বলছেন মন্ত্রী । অন‍্যায় করেছে পুলিশ কেস দিয়েছে । এর সাথে তার কোনো যোগ নেই । " মন্ত্রীর কোনো কথাকেই গুরুত্ব দিতে নারাজ কেষ্ট মন্ডল । কখনো বলেন ওনার বয়স হয়েছে , কখনো বলেন মন্ত্রী মানুষ ব‍্যস্ত আসতে পারেন না - দীর্ঘ সময় ধরেই অনুব্রত মন্ডলের সাথে কোনো যোগ নেই খোদ মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর । কোনদিন একমঞ্চে দুই নেতাকে এলাকার কোনো কর্মসূচীতেও দেখা যায় নি । মঙ্গলকোট এলাকায় দুই নেতার দুই গোষ্ঠীতে স্পষ্ট ভাগ । বিধানসভা ভোটের দোরগোড়ায় যা আরো প্রকোট আকার ধারন করছে । মঙ্গলকোট বিধানসভায় এবার দল কাকে টিকিট দেয় তার দিকেই তাকিয়ে সকলে । তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরীকেও কোনোদিন মন্ত্রী তথা বিধায়কের সাথে দেখা যায় নি । আউশগ্ৰাম , কেতুগ্ৰাম এর বিধায়কদের সাথে দেখা গেলেও মঙ্গলকোটের বিধায়ক এর সাথে দূরত্ব বজায় রয়েছে বছরের পর বছর । আদৌ দ্বন্দ্ব মিটবে কি ? প্রশ্ন দলের অভ‍্যন্তরেই ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।